এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিলো পর্তুগাল
প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | লেখক: আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও রাজনীতি বিভাগ
সম্প্রতি পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রী পাউলো রাঙ্গেল ঘোষণা করেছেন, দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। এই ঘোষণা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ঠিক আগে দেওয়া হয়েছে। :contentReference[oaicite:0]{index=0}
🌐 কী বলল পর্তুগাল?
পর্তুগাল জানিয়েছে, এই স্বীকৃতি তার স্থায়ী বৈদেশিক নীতি অনুসারে নেওয়া হয়েছে, এবং সে “দ্বি‑রাষ্ট্র সমাধান” কে গ্রহণযোগ্য শান্তি উপায় হিসেবে বিবেচনা করে। তাছাড়া, গাজায় চলমান মানবিক সঙ্কট, পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি বসতির সম্প্রসারণ ও বন্দিদশার মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়গুলোও উল্লেখ করা হয়েছে। :contentReference[oaicite:1]{index=1}
📅 পেছনের পটভূমি ও সময়সূচি
জুলাই মাসে সরকারি বক্তব্যে পর্তুগাল জানিয়েছিল যে, তারা সম্ভবত সেপ্টেম্বর মাসে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে, যদি কিছু রাজনৈতিক আলোচনা ও সংসদের মধ্যে সমর্থন গড়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ২১ সেপ্টেম্বর স্বীকৃতি প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়। :contentReference[oaicite:2]{index=2}
✅ এই সিদ্ধান্তের সম্ভাব্য সুফল ও প্রভাব
- ফিলিস্তিনের আন্তর্জাতিক বৈধতার স্বীকৃতি বাড়বে এবং ভূ‑রাজনৈতিক অবস্থানে শক্তি আসবে।
- দ্বি‑রাষ্ট্র সমাধানের বিষয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নতুন এক ধরণের উৎসাহ তৈরি হতে পারে।
- মানবিক সহায়তা ও নীচু পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট নীতি পরিবর্তন গুলোর জন্য আন্তর্জাতিক চাপ আরও বেড়তে পারে।
- স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর কূটনৈতিক সম্পর্কে পরিবর্তন, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে, পর্তুগালের অবস্থানকে গুরুত্ব দেবে।
⚠️ সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ ও সমালোচনা
যদিও এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ, তবে এর কিছু প্রভাব ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে:
- ইসরায়েল এই সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করতে পারে এবং তার রাজনৈতিক ও সুরক্ষা নীতি কঠোর করবে। :contentReference[oaicite:3]{index=3}
- ফিলিস্তিন ও গাজা অঞ্চলের পরিস্থিতি যত দ্রুত পরিবর্তন হবে তার সাথে তুলনায় এই স্বীকৃতি কতটা কার্যকর হবে তা সময় বলবে।
- পর্তুগালের পার্লামেন্ট ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে রাজনৈতিক একমনা সমর্থন থাকা দরকার ছিল, এবং এ বিষয়ে অভ্যন্তরীন মতবিভেদ হতে পারে। :contentReference[oaicite:4]{index=4}
🔍 ফিলিস্তিনের প্রতিক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক দৃশ্যপট
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ পর্তুগালের সিদ্ধান্তকে “সাহসী পদক্ষেপ” হিসেবে অভিহিত করেছে এবং অন্যান্য দেশকেও দ্রুত একই ধরণের স্বীকৃতি দেয়া উচিত বলে আহ্বান জানিয়েছে। :contentReference[oaicite:5]{index=5} এমনকি কিছু দেশ ইতিমধ্যেই স্বীকৃতি ঘোষণা করেছে, যেমন যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া। :contentReference[oaicite:6]{index=6}
📝 উপসংহার
পর্তুগালের এই পদক্ষেপ কেবল সাংকেতিক নয় — এটি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে পারে। শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় দ্বি‑রাষ্ট্র সমাধানকে শক্তি দেয়ার জন্য এটি একটি সম্ভাবনা তৈরি করছে। তবে সত্যিকার পরিবর্তনের পথে রয়েছে বাস্তব কাজ, মানে দরকার মানবিক পরিস্থিতি উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক চুক্তি ও আলোচনার পথ প্রশস্ত করা এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকার সুরক্ষা করা।