সঞ্চয়পত্র কেনাবেচার আলাদা বাজার তৈরির পরামর্শ দিলেন গভর্নর!
প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | লেখক: অর্থনীতি ডেস্ক
ঢাকা: দেশের অর্থনীতিতে সঞ্চয়পত্রের গুরুত্ব বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আব্দুর রউফ তালুকদার সঞ্চয়পত্র কেনাবেচার জন্য একটি আলাদা ও সংগঠিত বাজার গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন। সম্প্রতি রাজধানীতে একটি আর্থিক সেমিনারে তিনি এই প্রস্তাব দেন।
📌 কী বললেন গভর্নর?
গভর্নর বলেন, “বর্তমানে সঞ্চয়পত্রের যে লেনদেন পদ্ধতি রয়েছে, তা অনেকটাই অপ্রাতিষ্ঠানিক ও সীমিত। যদি একটি সংগঠিত সেকেন্ডারি মার্কেট তৈরি করা যায়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা আরও সহজে ও স্বচ্ছভাবে সঞ্চয়পত্র কেনাবেচা করতে পারবেন। এতে একদিকে বিনিয়োগে গতি আসবে, অন্যদিকে সরকারের জন্যও স্বল্পমেয়াদি ঋণ গ্রহণ আরও সহজ হবে।”
💡 আলাদা বাজার মানে কী?
বর্তমানে সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে নির্দিষ্ট ব্যাংক শাখা বা পোস্ট অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হয়। কিন্তু “সেকেন্ডারি মার্কেট” থাকলে আপনি চাইলে আগেভাগে কেনা সঞ্চয়পত্র বাজারে বিক্রি করে দিতে পারবেন, আবার অন্য কেউ সেটা কিনেও নিতে পারবে। এটি শেয়ারবাজারের মতই একটি খোলা বাজারব্যবস্থা হবে।
📊 এই বাজার চালু হলে কী কী সুবিধা হতে পারে?
- ➡️ বিনিয়োগকারীরা আরও সহজে তারল্য পাবে
- ➡️ দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা যাবে
- ➡️ সরকারি ঋণ ব্যবস্থাপনার গতি বাড়বে
- ➡️ সঞ্চয়পত্রের প্রতি আস্থা ও আকর্ষণ আরও বাড়বে
⚠️ চ্যালেঞ্জ কী কী?
তবে এই প্রস্তাব বাস্তবায়নে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন:
- 📌 মূল্য নির্ধারণের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা
- 📌 দালালদের প্রভাব প্রতিরোধ
- 📌 ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরি
- 📌 বিনিয়োগকারীদের প্রশিক্ষণ
“সঞ্চয়পত্রের বাজার উন্নয়ন হলে শুধু ব্যক্তিগত সঞ্চয়ই বাড়বে না, বরং সামগ্রিক আর্থিক অন্তর্ভুক্তিও নিশ্চিত হবে।” – অর্থনীতিবিদ ড. সেলিনা হোসেন
📈 সরকারের বর্তমান অবস্থান
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে এই প্রস্তাব আলোচনার টেবিলে রয়েছে এবং সম্ভাব্য কাঠামো তৈরি নিয়েও কাজ চলছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ট্রেডিং, দাম নির্ধারণের অ্যালগোরিদম, এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হতে পারে।
📝 উপসংহার
সঞ্চয়পত্র কেনাবেচার আলাদা বাজার গঠনের এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে এটি দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় অগ্রগতি হবে। ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনাও আরও স্থিতিশীল হতে পারবে। এখন দেখার বিষয়, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে সরকার কী ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।