আরেকটি হত্যা মামলায় আনিসুল‑সালমান‑ও আতিকুলকে গ্রেফ্তার দেখানো হলো!
প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | লেখক: আইন ও রাজনীতি সাংবাদিক
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার একটি আদালত আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান ও আতিকুল ইসলামকে সর্বশেষ একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন। মামলাটি মিরপুর থানায় দায়ের করা, যেখানে অভিযোগ উঠে নিহত হয়েছেন “মাহফুজুর রহমান।” :contentReference[oaicite:0]{index=0}
🔍 মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
ঘটনাটি “জুলাই অভ্যুত্থান” কেন্দ্রিক আন্দোলনের সময় ঘটে। অভিযোগ অনুসারে, গত বছরের ১৯ জুলাই এক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলাকালীন মিরপুর‑১০ এলাকায় একটি সমাবেশে গুলি ছোড়া হয়, যেখানে মাহফুজুর রহমান আহত হলে হসপিটালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান। এই ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। :contentReference[oaicite:1]{index=1}
👥 গ্রেফতার দেখানো আসামিরা
- আনিসুল হক — সাবেক আইনমন্ত্রী :contentReference[oaicite:2]{index=2}
- সালমান এফ রহমান — সাবেক উপদেষ্টা, প্রধানমন্ত্রী :contentReference[oaicite:3]{index=3}
- আতিকুল ইসলাম — সাবেক মেয়র, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন :contentReference[oaicite:4]{index=4}
- জসিম উদ্দিন মোল্লা — মিরপুর বিভাগের সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) :contentReference[oaicite:5]{index=5}
⚖️ আদালতের আদেশ ও তদন্ত পরিস্থিতি
পুলিশ মামলাটি মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করে আদালতে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন এবং আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। উল্লেখ করা যায়, সালমান, আনিসুল ও আতিকুল ইতিমধ্যেই কারাগারে রয়েছেন। :contentReference[oaicite:6]{index=6}
📌 রাজনীতি ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া
এই মামলা এবং গ্রেফতার দেখানোর সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক বিতর্ক ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিপক্ষ রাজনৈতিক দল, মানবাধিকার সংগঠন ও কিছু সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছেন, আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কি অপরাধ, এবং বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হবে কি না। একইসাথে সরকারের পক্ষ থেকে বলেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনে আইনমাফিক কাজ করা হয়েছে। :contentReference[oaicite:7]{index=7}
✅ এর সম্ভাব্য প্রভাব
- এই ধরনের মামলা ও গ্রেফতারবিধি রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে।
- আন্দোলন ও বিক্ষোভের স্বাধীনতা, মানুষের মৌলিক অধিকার ও বিচারপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার বিষয়ে নজর বাড়বে।
- আইনের শাসন, রিমান্ড ও গ্রেফতার দেখানোর প্রক্রিয়া নিয়ে সুশাসন বিষয়ক সংস্থাগুলোর দাবি তীব্র হবে।
📝 উপসংহার
গ্রেফতার দেখানোর মতো আদালতের এই সিদ্ধান্ত একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ও সামাজিক ইঙ্গিত। তবে বিচারপ্রক্রিয়া যেন পাশবিক হয় না, মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা হয় এবং সব পক্ষের বক্তব্য শোনা যায়—এসব বিষয় এখন সময়ের দাবি। মামলার নিষ্পত্তি ও আদালতের কর্মকাণ্ড খোলা ও স্বচ্ছ হওয়া দরকার, যাতে সাধারণ মানুষ এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকগণ এই বিষয়ে বিশ্বাস রাখতে পারেন।