ফিলিস্তিনকে চার দেশের স্বীকৃতিকে স্বাগত জানালো বাংলাদেশ!
প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকা থেকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছে যে চারটি প্রভাবশালী দেশ — যুক্তরাজ্য (United Kingdom), কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল — আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই খবরটি বাংলাদেশের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা মোঃ তোহিদ হোসেন নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন থেকে সাংবাদিকদের জানান।
বাংলাদেশ কেন স্বাগত জানালো?
বাংলাদেশের ধারাবাহিক নীতি সবসময়ই ছিল ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি সমর্থন। তোহিদ হোসেন জানান, “আমরা সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে ছিলাম ও তাদের জনগণের পক্ষে দাবি করি। চার দেশের এই স্বীকৃতি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, স্বাধীনতা লাভের পথে এগিয়ে যাওয়া। তবে এখনও অনেক পথ বাকি।”
চারটি দেশ এবং তাদের স্বীকৃতির প্রেক্ষাপট
- যুক্তরাজ্য: ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি ঘোষণার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
- কানাডা: কানাডিয় নীতি ও জনগণের মানবিক অনুভূতির প্রতিফলন হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
- অস্ট্রেলিয়া: আন্তর্জাতিক ন্যায় ও মানবিকতার কথা বিবেচনায় রেখে এই স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
- পর্তুগাল: “দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান” ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার আহ্বানকে গুরুত্ব দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রভাব ও ফলাফল
এই স্বীকৃতি পশ্চিমা বিশ্বের মাঝে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনকে নির্দেশ করছে, যেখানে ঐতিহ্যগতভাবে ফিলিস্তিনি স্বীকৃতি বিষয়ে দ্বিধা ছিল। ফিলিস্তিনিদের জন্য এটি একটি মানসিক ও কূটনৈতিক উদ্দীপনা, যেহেতু এখন ১৫০+ রাষ্ট্র তাদের রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। পাশাপাশি, যদি ফ্রান্সও দ্রুত স্বীকৃতি প্রদান করে, তাহলে এটি হবে সংহতি আরও বাড়ানোর একটি বড় ঘটনা — কারণ এটি হবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের মধ্যে থেকে একটি দেশ।
চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যতের পথ
- স্বীকৃতি দেওয়া হলেও ফিলিস্তিন এখনও অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে — যেমন সীমান্ত দখল, বসতি সম্প্রসারণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন।
- দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের জন্য ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সরাসরি কথোপকথন প্রয়োজন।
- আঞ্চলিক রাজনৈতিক উত্তেজনা এই ধরণের স্বীকৃতির বাস্তব প্রভাব কমিয়ে দিতে পারে।
- বাংলাদেশসহ সমর্থনকারী দেশগুলোর কূটনৈতিক চাপ ও অবস্থান বজায় রাখতে হবে।
উপসংহার
চারটি দেশের ফিলিস্তিন স্বীকৃতি বাংলাদেশের ধারাবাহিক নীতি ও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার, মানবাধিকারের প্রতি এক দৃঢ় আস্থাকে প্রতিফলিত করে। এটি শুধু একটি প্রতীকী কূটনৈতিক জয় নয়, বরং বিশ্বব্যাপী শান্তি ও সুবিচারের পথকেও শক্তিশালী করতে পারে। তবে স্বীকৃতি মানেই সবকিছু শেষ নয় — এখনও ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য স্বাধীনতা, মর্যাদা ও নিরাপত্তার বাস্তব উন্নয়ন করতে হবে।