নির্বাচনের পরেও বিচার চালানোর রোডম্যাপ চাইলেন — নাহিদ ইসলাম যা বললেন!
বাংলাদেশের রাজনীতিতে “নির্বাচন” ইতিমধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু শুধু নির্বাচন ভেতর দিয়ে কি আদর্শ বিচার ও সংস্কার নিশ্চিত হবে? জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই প্রশ্নের উত্তরে বলছেন, নির্বাচনের পরেও বিচার কাজ অব্যাহত রাখতে হবে এবং এর জন্য সরকারের কাছে একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ থাকতে হবে।
প্রেক্ষাপট
- জুলাই‑আগস্ট অভ্যুত্থান ও গণহত্যার মামলা: এই সময়ে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, গুম‑মামলা প্রভৃতি বিষয়গুলোর বিচার চলমান রয়েছে। নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, এসব মামলা নির্বাচন হওয়ার পরও যেন বাধাপ্রাপ্ত না হয়। সূত্র
- রাজনৈতিক বিশ্বাসের সংকট: অনেকেই অনুভব করছেন নির্বাচন শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা হয়ে গেছে, কিন্তু পুরাতন অপরাধ ও অবিচার মুছে ফেলা হয়নি। বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচনের বৈধতা জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করতে পারে। সূত্র
নাহিদ ইসলামের দাবি ও বক্তব্য
- নির্বাচনের পরেও বিচারমূলক কার্যক্রম যেন বাধাহীন ও সুসংগঠিতভাবে চলে। সূত্র
- দীর্ঘদিন ধরে গুম, হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন সম্পর্কিত মামলাগুলো যেন দ্রুত বিচার পায় এবং রায় প্রক্রিয়া নির্বাচন শেষে বন্ধ না হয়। সূত্র
- বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন — এই তিনটি একসাথে রোডম্যাপে থাকা উচিত, যাতে শুধু নির্বাচন নয়, জনমানুষ বিচার ও সংস্কারকেও দেখতে পারে। সূত্র
- সকল রাজনৈতিক দল ও সরকারের অংশগ্রহণ ও প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন। সূত্র
চ্যালেঞ্জ ও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনাসমূহ
- আইনি ও আদালত‑প্রক্রিয়ার জটিলতা যেমন প্রমাণ সংগ্রহ, সাক্ষীদের সুরক্ষা ও সময়ে বিচার শেষ করা ইত্যাদি।
- রাজনৈতিক বাধা ও স্বার্থবিরোধী শক্তির বাধা সৃষ্টি।
- নিরাপত্তা ও মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়‑বিভাগে পার্থক্যমূলক আচরণ হতে পারে।
- জনমানের প্রত্যাশা ও প্রশাসনিক বাস্তবায়ন যদি মিলিয়ে না যায়, তাহলে বিশ্বাসহ্রাস ঘটতে পারে।
সম্ভাব্য প্রভাব
- আস্থা ও বিশ্বাস পুনরুদ্ধার হবে যে সরকার নির্বাচন নয়, তার সাথে বিচার ও সংস্কারকেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
- নিচুতলায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারবে যদি অপরাধ ও অবিচার মোকাবিলা করা হয়।
- নেতৃত্বের প্রতি জনগণের জবাবদিহিতা বাড়বে।
- দীর্ঘমেয়াদে বিচার ও সংস্কার রূপায়ণে সফল হলে সামাজিক ন্যায্যতা ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা পাবে।
উপসংহার
নির্বাচনের পরেও বিচার চালানোর রোডম্যাপ চাওয়ার এই দাবি দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে। শুধু ভোটের তারিখ নয়, বিচার, সংস্কার ও জননির্ধারিত ন্যায়বিচার যেন নির্বাচন শেষে থেমে না যায়, সেই নিশ্চিতকরণই এখন সময়ের দাবি। যদি সরকার ও সব রাজনৈতিক দল মিলেমিশে কাজ করেন, তাহলে এই রোডম্যাপ শুধু একটি ঘোষণাই থাকবে না — বাস্তব রূপ পাবে।